গহীন অরণ্য বা সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা প্রজাতির খোঁজ মাঝে মধ্যেই পাওয়া
যায়। কখনো বা খোঁজ মেলে হারিয়ে যাওয়া পুরনো সাম্রাজ্যের। কিন্তু একেবারে
নতুন প্রায় ছয়শো প্রজাতির বিপুল সম্ভারের খোঁজ এভাবে পাওয়া যাবে তা
স্বপ্নেও ভাবেননি বিজ্ঞানীরা। তাই বোধ হয় অ্যান্টার্কটিকার গভীর সমুদ্রের ৮
হাজার ফুট তলায় সাত হাতের তারামাছ ও লোমওয়ালা কাঁকড়ার খোঁজ পাওয়ায় হৈ চৈ
পড়ে গেছে বিজ্ঞানী মহলে। সাউদাম্পটন ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন
বিজ্ঞানী বিশেষ প্রযুক্তিতে গভীর সমুদ্রে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। সেখানে
সম্প্রতি এক সক্রিয় আগ্নেয়গিরির পাশে খোঁজ মেলে কয়েকটি অদ্ভুতর্শন জীবের।
ভাল করে পরীক্ষা করতেই তারা বুঝতে পারেন কোনো নতুন জীব নয়, কতগুলো চেনা
জীবই রূপ বদলে হাজির হয়েছে তাদের সামনে। বিজ্ঞানীদের আরো আশ্চর্য হওয়ার
কারণ এত গভীরে, যেখানে সূর্যের আলো প্রবেশ করে না, সেখানে এত ধরনের প্রাণী
বহাল তবিয়তে রয়েছে কী করে। যদিও বিজ্ঞানীরা মনে করছেন সমুদ্রের গভীরে
আগ্নেয়গিরির গলিত লাভা প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য জোগায় প্রয়োজনীয় উষ্ণতা।
আর লাভার সঙ্গে থাকা বিষাক্ত পদার্থ থেকে জোগাড় করে কাজ করার শক্তি।
এভাবেই মানুষের অগোচরে ধীরে ধীরে অন্তত ছয়শো প্রাণীর এক বিশাল সাম্রাজ্য
গড়ে উঠেছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা প্রধান গবেষক অ্যালেক্স
রজার জানিয়েছেন, এক মজার তথ্য। —খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
Sunday, January 29, 2012
Tuesday, January 24, 2012
তওবা ও এস্তেগফার
তওবা ও এস্তেগফারের ক্ষেত্রে যেই সকল বাক্য কোরআন ও হাদীসে উদ্ধৃত আছে তার কিছু উল্লেখযোগ্য উদ্ধৃতি এখানে
উল্লেখ করা হলো।
সাধারণভাবে যেকোন ভাষায়, যে কোন উপায়ে এবং যে কোন বাক্য দ্বারাই তওবা করা যাইবে। তবে কোরআন ওহাদীসে ব্যবহৃত বাক্যসমূহ দ্বারা তওবা করাই উত্তম এবং কবুল হওয়ার ব্যাপারে অধিক সম্ভাবনাম্য। সুতরাং পাঠকদের সুবিধার্থে এখানে আমি কিছু কোরআন হাদীসে বর্ণিত বেশ কিছু দোয়া সংকলন করেছি।
কালামে পাকে তওবা ও এস্তেগফারের দোয়াসমূহ
আয়াত-০১
অর্থঃ আর আমাদিগকে আমাদের হজ্জ্বের আহকাম বলিয়া দিন এবং আমাদের তওবা কবুল করুন, নিশ্চয়ই আপনি
তওবা কবুলকারী ও মেহেরবান।
-সূরা বাক্বারা, রুকুঃ ১৫
আয়াত-০২
অর্থঃ আর তাহারা সকলেই বলিল, আমরা শ্রবণ করিলাম এবং সানন্দে আনুগত্য স্বীকার করিলাম, আমরা আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আর আপনারই দিকে প্রত্যাবর্তিত হইতে হইবে। আল্লাহ্ তা'য়ালা কাহাকেও নির্দেশ পালনে বাধ্য করেন না; কিন্তু উহাই যাহা তাহার সামর্থ্যে আছে। সে ছওয়াব ও উহাই পাইবে
যাহা সে স্বেচ্ছায় করে। হে আমাদের রব! আমাদিগকে পাকড়াও করিবেন না, যদি আমরা ভুলিয়া যাই কিংবা ভুল করিয়া বসি। হে আমাদের রব আমাদের প্রতি কোন কঠোর ব্যবস্থা পাঠাইবেন না, যেরুপ আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর
পাঠাইয়াছিলেন, হে আমাদের রব। এবং আমাদের প্রতি এমন কোন গুরুভাব চাপাইবেন না যাহা বহন করার শক্তি
আমাদের নাই। আর ক্ষমা করিয়া দিন আমাদিগকে এবং মার্জনা করিয়া দিন। আর আমাদের প্রতি কৃপা করুন।
আপনি আমাদের কর্ম সম্পাদক। সুতরাং আমাদিগকে কাফের সম্প্রদায়ের উপর প্রাবল্য দান করুন।
-সূরা বাক্বারার শেষ আয়াত
আয়াত-০৩
অর্থঃ হে আমদের রব! আমাদের গোনাহ্সমূহ এবং আমাদের কর্ম সমূহে সীমা অতিক্রমকে মাফ করিয়া দিন এবং আমাদিগকে দৃঢ়পদ রাখুন, আর আমাদিগকে কাফের সম্প্রদায়ের উপর বিজয়ী করুন।
-সুরা আল্ ইমরান, রুকুঃ ১৫
আয়াত-০৪
আহবান করইতেছেন যে, তোমরা স্বীয় রবের প্রতি ঈমান আন, সুতরাং আমরা ঈমান আনিলাম। হে আমাদের রব!
অতএব, আমদের গোনাহ্সমূহকে মাফ করিয়া দিন এবং আমাদের মৃত্যু নেককারদের সহিত করুন।
-সুরা আল্ ইমরান, শেষ রুকুঃ ১৫
চলবে ...
Subscribe to:
Posts (Atom)