কৌতুক - ০১.
মার্কেটে কেনাকাটার সময় এক ভদ্রমহিলাকে বলছেন এক লোক, ‘এই যে শুনুন।’ভদ্রমহিলা: বলুন
লোক: এখানে এসে আমি আমার স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি কি আপনার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারি?
ভদ্রমহিলা: স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছেন তো আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন কেন?
লোক: না মানে…আমি লক্ষ করেছি, যখনই আমি কোনো অপরিচিত নারীর সঙ্গে কথা বলতে নিই, তখনই কোথা থেকে যেন আমার স্ত্রী এসে হাজির হয়!
কৌতুক - ০২.
এক ভদ্রমহিলা কেনাকাটা শেষে টাকা দেওয়ার সময় বিক্রেতা লক্ষ করলেন, ভদ্রমহিলার ব্যাগের ভেতরে একটা টিভি রিমোট কন্ট্রোল।
বিক্রেতা: কিছু মনে করবেন না, ম্যাডাম, আপনি কি সব সময় ব্যাগে রিমোট কন্ট্রোল রাখেন?
ভদ্রমহিলা: না। শুধু যেদিন আমার স্বামী আমার সঙ্গে মার্কেটে আসতে রাজি হয় না, সেদিন!
কৌতুক - ০৩.
থাইল্যান্ডে হানিমুনে গেছে এক দম্পতি—স্বামী: আজ যদি আমার এত টাকা-পয়সা না থাকত, হয়তো আমরা এই বিলাসবহুল হোটেলে থাকতে পারতাম না।
স্ত্রী: হ্যাঁ। হয়তো আমাদের থাইল্যান্ডেও আসা হতো না। তার চেয়ে বড় কথা, এসব কথা বলার জন্য আমাকেও পাশে পেতে না!
কৌতুক - ০৪.
স্বামী-স্ত্রীতে কথা হচ্ছে—স্বামী: ওগো শুনছো, সেই ১৯৭৯ সাল থেকে টাকা জমানো শুরু করার পর অবশেষে আজ স্বপ্নের গাড়িটা কেনার মতো টাকা আমার হয়েছে।
স্ত্রী: সত্যি?! কী গাড়ি? ২০১০ মডেলের টয়োটা?
স্বামী: না! একটা ১৯৭৯ মডেলের মিতসুবিশি!
কৌতুক - ০৫.
পৃথিবীতে সবকিছুই আপেক্ষিক। যে ৫০০ রুবলের কথা আমার স্ত্রী জানে না, সেটার মূল্য আমার কাছে সেই দুই হাজার রুবলের চেয়ে বেশি, যার কথা আমার স্ত্রী জানে।কৌতুক - ০৩.
দুই বান্ধবীর কথোপকথন।
—স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করেছ কেন?
—ও একগাদা অশ্লীল গান জানে!
—তোমাকে গেয়ে শুনিয়েছে?
—না, শিস বাজায় সারাক্ষণ।
কৌতুক - ০৬.
স্বামী দেরি করে বাসায় ফিরলে জেরা শুরু করল স্ত্রী:—কোথায় ছিলে এতক্ষণ?
—বন্ধুর বাসায়।
—কী করছিলে?
—দাবা খেলছিলাম।
—তাহলে তোমার শরীরে ভোদকার গন্ধ কেন?
—তবে কিসের গন্ধ থাকবে, দাবার?
কৌতুক - ০৭.
স্বামী: ও গো শুনছ, একটু পর আমার একজন বন্ধু আসবে।স্ত্রী: গাধা, বোকার হদ্দ কোথাকার, করেছ কী? দেখো না ঘরের কী অবস্থা? ভাঙা ফুলদানি, কাচের প্লেট, ঝাড়ু ঘরজুড়ে সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
স্বামী: এই জন্যই তো ওকে আসতে বলেছি। গর্দভটা বিয়ে করার কথা ভাবছে!
কৌতুক - ০৮.
ছেলেঃ ঘুমিয়ে আছে সকল পিতা সব শিশুরই অন্তরেবাবাঃ Good boy, পড়।
ছেলেঃ পিতাদের এত ঘুমানোর কী প্রয়োজন?
কৌতুক - ০৯.
বাবা: স্কুলে তোমার কেমন চলছে, খোকা? লেখাপড়া কেমন হচ্ছে?
ছেলে: আচ্ছা বাবা, মাঝেমধ্যেই তুমি এ কথা জিজ্ঞেস করো কেন? আমি কি কখনো জিজ্ঞেস করি, অফিস তোমার কেমন হচ্ছে?
কৌতুক - ১০.
প্রতিদিনের মতো রহমান সাহেব তাঁর মেয়েকে ঘুম পাড়াচ্ছেন। মেয়ের ঘুম আসছে না দেখে রহমান সাহেব মেয়েকে রূপকথার গল্প শোনাচ্ছিলেন। এক ঘণ্টা পরে ঘরে শুধু মৃদু স্বরে গল্পের আওয়াজ পাওয়া গেল। দুই ঘণ্টা পরে নীরবতা। মিসেস রহমান এসে ফিসফিস করে জানতে চাইলেন, ‘ঘুমিয়ে পড়েছ?’‘হ্যাঁ, মা, বাবা ঘুমিয়ে পড়েছে,’ মেয়ে উত্তর দিল।
কৌতুক - ১১.
বাবা তার ছোট সন্তানকে: আমার লক্ষ্মী বাবা! সোনা বাবা!!পিচ্চি: আমি তোমার বাবা হব কী করে? আমি তো বিয়েই করিনি, তাই না, মা?
কৌতুক - ১২.
পুণ্যার্থী: আজ দানবাক্সে কত রাখব, বাবা?ভন্ডবাবা: দুটো পয়সা বেশি দিয়ে যাস। জিনিসপত্রের যা দাম! তোরও যাতে লস না হয় সেটা দেখছি। তোর জন্য আজ বাড়তি এক কোটি টাকা চেয়ে প্রার্থনা করছি।
কৌতুক - ১৩.
রোগী: সকাল থেকে এসে বসে আছি। ব্লাড ক্যানসার নিয়ে এতক্ষণ কি বসা যায়? বাবারে কও না দুইটা ঝাড়ফুঁক দিয়া আমারে ভালা কইরা দিতে। ট্যাকা-পয়সা কম দিমু না।ওঝাবাবার সহকারী: বললাম তো আজকে সম্ভব না। ওনার পেটের পীড়া হইছে। দৌড়ের ওপর আছেন। একটু পরে ডাক্তারের কাছে যাইতে হইব। যান, দুই দিন পরে আসেন।
কৌতুক - ১৪.
বাবা যা-ই বলে তা-ই মনে হয় ভুল। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একসময় মনে হয় বাবার সব কথাই ছিল সত্যি। এই উপলব্ধি আসার সময় বুঝবেন, আপনার সন্তানও আপনার সব কথা ভুল বলে উড়িয়ে দিচ্ছে।
কৌতুক - ১৫.
জনি একবার ফুটবল ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে গেছে। গ্যালারিতে জনির পাশের চেয়ারেই বসেছেন এক বৃদ্ধ। বৃদ্ধের পাশের চেয়ারটা ফাঁকা।জনি: চাচা, আপনার পাশের চেয়ারে কি কেউ বসবেন?
বৃদ্ধ: আমার স্ত্রীর বসার কথা, কিন্তু ও বেঁচে নেই।
জনি: ওহ্! আমি দুঃখিত। আপনার কি কোনো আত্মীয় বা বন্ধুও ছিল না, যাকে আপনি সঙ্গে নিয়ে আসতে পারতেন?
বৃদ্ধ: না। ওরা সবাই আমার স্ত্রীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে গেছে!
কৌতুক - ১৬.
করিম আর বাবার মধ্যে কথা হচ্ছে।করিম:- বাবা, আমাদের প্রতিবেশী হাসানরা কি খুব গরীব ?
বাবা:- কি বলিস, তাদের অবস্থাতো বেশ ভালো।
করিম:- গতকাল হাসানের ছোটো ভাই একটা পয়সা গিলে ফেলেছিলো। সেটা বের করার জন্য ওর বাবা-মা কি কান্ডটাই না করলো।
কৌতুক - ১৭.
খদ্দের আর হোটেল বেয়ারার মধ্যে কথা হচ্ছে।বেয়ারা:- আপনার ছেলে কিন্তু খেয়ে আপনার চেয়ে বেশী বখশিশ দেয়।
খদ্দের:- দিতে পারে। তার বড়লোক বাপ আছে। কিন্তু আমার তো সেটা নেই।
কৌতুক - ১৮.
এক নতুন সাংবাদিক এক জায়গায় ভীড় দেখে সংবাদ সংগ্রহের উদ্দশ্যে ভীড়ের দিকে এগিয়ে গেলো। কিন্তু কিছুতেই ভীড় ঠেলে ভিতরে যেতে পারছে না ।
তখন সে একটা বুদ্ধি বের করলো।
চিৎকার করে বলতে লাগলো, আপনারা সবাই সরেন। এখানে যে মারা গেছে , আমি তার ছেলে ।
সবাই অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে যায়গা করে দিলো।
সাংবাদিক ভেতরে ঢুকে দেখতে পেলো, একটি গরু এক্সিডেন্টে মারা গেছে।
কৌতুক - ১৯.
কোর্তার ভিতর আমিও ছিলামএকদিন রাতে হোজ্জার প্রতিবেশি শুনল হোজ্জার সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়া চলছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ভারী একটা কিছু পড়ার আওয়াজ হলো তারপর সব চুপচাপ।
পরদিন সকালে প্রতিবেশি হোজ্জা কে জিজ্ঞাস করে, 'কাল রাতে আপনার বাসায় ভারী কিছু একটা পড়ার শব্দ পেলাম'।
'আমার বিবি রাগ করে আমার কোর্তা জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়', হোজ্জা জানায়।
'একটা কোর্তা পড়ায় এত শব্দ হয়', প্রতিবেশি অবাক।
'আরে কোর্তার ভিতর তো আমিও ছিলাম', হোজ্জা বিরস মুখে জানায়।
কৌতুক - ২০.
মহিলা বিচার চায়একদিন একজন পুরুষ ও একজন মহিলা বিচারক হোজ্জার দরবারে এল।
মহিলাটি ফরিয়াদ জানায়, 'আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, অপরিচিত এই লোকটা হঠাৎ এসে আমাকে চুমু দিয়েছে। আমি বিচার চাই'।
'আমিও মনে করি তোমার বিচার পাওয়া উচিত', হোজ্জা বলে। 'সুতরাং আমি নির্দেশ দিলাম, তুমি লোকটাকে চুমু দাও এবং তোমার প্রতিশোধ নাও'।
কৌতুক - ২১.
আপনি কি ঘুমাচ্ছেন?একদিন নাসিরউদ্দিন চোখ বন্ধ করে শুয়ে ছিল।
তার শালা এসে জিজ্ঞাস করে, ' আপনি কি ঘুমাচ্ছেন?'
'কেন জিজ্ঞাস করছ', নাসিরুদ্দিন বলে।
'আমি ভাবছিলাম আপনি যদি আমাকে কিছু টাকা ধার দিতেন'।
'ওকে, তাইলে তোমার প্রথম প্রশ্নের উত্তর, আমি ঘুমাচ্ছি', নাসিরউদ্দিন বলে। ' এখন আমাকে একা থাকতে দেও'।
কৌতুক - ২২.
ভাগ্যিস আমি ছিলামনাএক রাতে হোজ্জা দেখে বাগানে এক লোক দাড়ায় আছে। চোর ভেবে হোজ্জা ধনুক বের করে চোরের দিকে তীর ছুড়ল। পরদিন সকালে গিয়ে দেখে তারই জামা মেলে দেয়া ছিল। যেটাকে হোজ্জা চোর মনে করে তীর ছুড়েছিল এবং সেই তীর জামাতে বিদ্ধ হয়ে আছে।
সাথে সাথে হোজ্জা মোনাজাত করে আল্লার কাছে শুকরিয়া জানায়।
হোজ্জার বিবি অবাক হয়ে বলে, ' তুমি এখন মোনাজাত করছ কেন?'
'ভাগ্যিস জামার ভিতর আমি ছিলামনা', হোজ্জার উত্তর।
কৌতুক - ২৩.
বিবি তোমার কথাই ঠিকনাসিরুদ্দিন হোজ্জা তখন কাজী। বিচার আচার করেন। একদিন বিচারে বসেছেন। ফরিয়াদি আসামির সম্পর্কে তার অভিযোগের বয়ান দিতেছে। হোজ্জা মনযোগ দিয়া তার কথা শুনছেন। বাদীর বলা শেষ হয়ে মাথা ঝাকিয়ে বললেন, 'তোমার কথাই ঠিক'।
এইবার আসামি বলে উঠল, 'হুজুর, আমার দুইটা কথা ছিল'। হোজ্জা বললেন, 'ঠিকাছে তুমি তোমার বক্তব্য বল'। আসামির বক্তব্যও মনযোগ দিয়া শোনার পর হোজ্জা বললেন, 'তোমার কথাই ঠিক'।
হোজ্জার স্ত্রী পর্দার আড়ালে এতক্ষণ সব কথা শুনছিলেন। বিরক্ত হয়ে স্বামীকে তিনি বললেন, 'দুইজনই ঠিক হয় কিভাবে? হয় আসামির কথা ঠিক অথবা ফরিয়াদির কথা ঠিক'।
হোজ্জা স্ত্রীর দিকে ফিরে সমর্থনসূচক হাসি দিয়ে বললেন, 'বিবি তোমার কথাই ঠিক'।
কৌতুক - ২৪.
অভিযোগ নাই
বিবির পিড়াপিড়িতে নাসিরুদ্দিন একটা গরু কিনল। কিন্তু গরু ও গাধার জন্য গোয়াল ঘরে পর্যাপ্ত যায়গা না থাকায়, একটা ঘুমালে আরেকটাকে দাড়িয়ে থাকতে হতো।
প্রিয় গাধার এই দুরবস্থা দেখে হোজ্জা একদিন খোদার কাছে প্রার্থনা করছে, "হে আল্লাহ, দয়া করে গরুটাকে মেরে ফেল যাতে আমার গাধাটা একটু আরাম করে ঘুমাইতে পারে" ।
পরদিন সকালে সে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে যে গাধাটা মরে পরে আছে।
প্রানপ্রিয় গাধার মৃত্যতুতে হতাশ হয়ে হোজ্জা বিরস বদনে আকাশের দিকে তাকায়ে বলল, "কোন অভিযোগ করবনা, খোদা, কিন্তু তুমি এতদিন ধরে সারা দুনিয়ার মালিক হয়েও, কোনটা গরু কোনটা গাধা এইটা চিনলানা!"
কৌতুক - ২৫.
হোজ্জা একসের মাংস কিনে এনে গিন্নিকে দিলেন রান্না করতে । গিন্নি রান্নার পর সব মাংস খেয়ে ফেললো । হোজ্জা নদী থেকে গোসল সেরে এসে খেতে বসলে মাংস না দেখে জিজ্ঞাসা করলে গিন্নি জানালো , বিড়ালে সব মাংস খেয়ে ফেলেছে । হোজ্জা তাড়াতাড়ি বিড়ালটাকে ধরে ওজন করে দেখলেন যে সেটার ওজন একসের । গিন্নিকে তখন বললেন, "এটা যদি বিড়াল হয় তবে মাংস কোথা্য়, আর এটা যদি মাংস হয় তবে বিড়ালটা কোথায় ?"কৌতুক - ২৬.
হোজ্জার বাড়িতে এক বন্ধু এসেছেন বেড়াতে। সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের সাথে পরিচয় করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় হোজ্জা নিজের একটি ভাল পোশাক ধার দিলেন। প্রথম বাড়িতে হোজ্জাকে বন্ধুকে পরিচয় করিয়ে দেবার সময় এও জানালেনঃ "এঁর গায়ে যে পোশাকটি দেখছেন, তা আসলে আমার।"
সেখান থেকে বেরিয়ে বন্ধু মহা ক্ষ্যাপা। "কী দরকার ছিল ওটা বলে আমাকে অপমান করার?" হোজ্জা ক্ষমা চাইলেন।
দ্বিতীয় বাড়িতে গিয়ে বললেন, "এঁর গায়ে যে পোশাকটি দেখছেন, তা আসলে এঁরই।" এবার তো বন্ধু আরো ক্ষ্যাপলেন। "পোশাকটি নিয়ে তুমি কিছু না বলাই ভাল"
তৃতীয় বাড়িতে গিয়ে তাই হোজ্জা বললেন, "ইনি আমার ঘনিষ্ট বন্ধু আর এঁর গায়ে যে পোশাকটি দেখছেন, সে সম্পর্কে কিছু না বলাই ভাল!"
কৌতুক - ২৭.
হোজ্জা বাজারে বসেছেন আঙুর বিক্রেতা হিসেবে। এক বন্ধুকে দেখে তার কাছেই আঙুর বেচতে চাইলেন। কিন্তু, বন্ধু বললেন যে, তার কাছে টাকা নেই। হোজ্জা উদার মানুষ। বললেন, "আপনি বন্ধু মানুষ। টাকা পরে দিলেও চলবে। দুটো আঙুর মুখে দিয়ে দেখুন, মধুর মত মিষ্টি।" বন্ধু অপারগতা জানিয়ে বললেন যে, তিনি রোজাদার। হোজ্জার জিজ্ঞাস্য, রোজার মাস আসতে এখনো দুই মাস বাকি। এখনই রোজা? বন্ধু বিগত বছরের ভাঙা রোজাগুলো পূরণ করার কথা জানালেন। সাথে সাথে হজ্জা বললেন, " ভাই আনি তোমার কাছে আঙুর বেচব না, যে লোক খোদার বাকি পূরণ করতে দশ মাস লাগায়, সে আমার বাকি টাকা দিতে ক'বছর লাগাবে?"
শিক্ষনীয় কৌতুকঃ
কৌতুক -০১.
দুজন লোক কথা বলছে। একটা বারে বসে। তাদের সামনে টেলিভিশন। টেলিভিশনে সাতটার খবর হচ্ছে। খবরে দেখাচ্ছে, একটা লোক একটা সেতুর রেলিংয়ে উঠেছে। প্রথম জন বলল, ‘এই লোকটা এখনই ব্রিজ থেকে লাফ দেবে।’
দ্বিতীয় লোকটা বলল, ‘না, লাফ দেবে না।’
‘অবশ্যই দেবে।’
‘না, দেবে না।’
‘বাজি ধরো। ৫০০ টাকা।’
‘আচ্ছা, বাজি। ৫০০ টাকা।’
টেলিভিশন খবরে দেখা গেল, সেতুর রেলিংয়ে দাঁড়ানো লোকটা সত্যি সত্যি লাফ দিল। সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় লোক ৫০০ টাকা বের করে দিল প্রথম ব্যক্তির হাতে। প্রথম লোক বলল, ‘না, টাকা দিতে হবে না। আমি আসলে পাঁচটার খবর দেখেছি। ও যে ব্রিজ থেকে লাফ দেয় সেটা আমি তখনই দেখেছি।’
দ্বিতীয় লোক বলল, ‘পাঁচটার খবর তো আমিও দেখেছি। কিন্তু আমি ভাবিনি একটা লোক এত বোকা হবে। দ্বিতীয়বারও সে একই ভুল করবে।’ (সংগৃহিত)
শিক্ষনীয়ঃ একই ভুল সাধারণত আমরা দ্বিতীয়বার করি না। আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নিই। আমরা ঠেকে শিখি।
কৌতুক -০২.
একবার এক পল্লিগ্রামের লোক ট্রেনের টিকিট কাটতে রেলওয়ে স্টেশনে আসেন।
‘টিকিটের দাম কত?’
‘কুড়ি টাকা।’
‘১৫ টাকায় দেবেন?’
‘না। আমাদের টিকিটের দাম ফিক্সড। আমাদের দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই।’
তখন লোকটা বলল, ‘আপনি না দিলে আমি অন্য দোকানে যাব।’
টিকিটবিক্রেতা হেসে বললেন, ‘টিকিট কেনার কাউন্টার এই একটাই। আর কোনো দোকানে এই টিকিট পাওয়া যাবে না।’
তখন ওই সরল যাত্রীটি বললেন, ‘একটাই দোকান। তাই তো আপনি দাম কমাচ্ছেন না। আরেকটা দোকান থাকলে ঠিকই টিকিটের দাম কমাতেন।’
শিক্ষনীয়ঃ ভালো কিছু করার দরকার হলে সেখানে প্রতিযোগিতা দরকার আছে।
কৌতুক -০৩.
এক নারীকে তাঁর স্বামী খুব পেটাত। উপায়ান্তর না দেখে তিনি বিবাহবিচ্ছেদ ঘটালেন। তারপর আবার বিয়ে করলেন। এই স্বামীও খুব পেটায়। যখন তিনি স্বামীর হাতে মার খান, তখন তিনি বিনবিনিয়ে কাঁদেন আর বলেন, ‘আমার আগের স্বামীও মারত, কিন্তু আগের স্বামীর মারটা এর চেয়ে মধুর ছিল।’
শিক্ষনীয়ঃ কোনো কিছুই বেশী আশা করা ঠিক না।
কৌতুক -০৪.
এক ভদ্রমহিলা বারবার সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর ধাত্রীও নির্দিষ্ট। কিন্তু সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় তিনি ব্যথা সহ্য করতে পারেন না। খুব কাঁদেন। ধাত্রীর হাত ধরে প্রতিজ্ঞা করেন, ‘এবারই শেষ। আর কোনো দিন আমি মা হব না।’
কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তিনি আবার ধাত্রীর দ্বারস্থ হন। আবার কাতরাতে থাকেন।
ধাত্রী বলে, ‘কী, আবারও!’ মহিলা বলেন, ‘এই যে কানে ধরেছি, এবারই শেষ।’
কিন্তু পরের বছর তিনি আবারও ধাত্রীর কাছে আসেন পেটে সন্তান নিয়ে।
ধাত্রী বলে, ‘আপনার ঘটনা কী?
মহিলা বলেন, ‘আমার বাচ্চাদের বাবা এত মধুর মধুর কথা বলে যে আমি প্রত্যেকবার পটে যাই...এই যন্ত্রণার কথা আমার মনেই থাকে না।’
শিক্ষনীয়ঃ আসলেই। আমরা এত মধুর মধুর প্রতিশ্রুতি শুনি, আমরা বারবার ভুলে যাই। তারপর যখন ওঁরা ক্ষমতায় আসেন, আমাদের বারোটা বাজতে থাকে।
কৌতুক -০৫.
দুই আর দুই কখন পাঁচ হয়?
যখন ভুল হয়।
শিক্ষনীয়ঃ সমস্যা হলো, আমাদের ক্ষমতাসীনেরা কখনো কোনো ভুল করেন না। আমরা জনগনকে ক্ষমতাসীনেরা ভূল বুঝিয়ে কাজটা সহজে করে নেয়।
English Jokes
No comments:
Post a Comment