Showing posts with label অজানা তথ্য. Show all posts
Showing posts with label অজানা তথ্য. Show all posts

Friday, March 30, 2012

চীনাদের আজব খাবার !

undefined
চীনাদের বিচিত্র খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। সাপ, ব্যাঙ, আরশোলা, কুকুর—এমন অনেক কিছুই আছে চীনাদের খাবার তালিকায়। এবার তাদের আরও একধরনের বিচিত্র খাবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বসন্তের সময় চীনাদের খুবই প্রিয় একটা খাবার ডিম-সেদ্ধ। তবে ডিমটা সেদ্ধ করা হয় বাচ্চাদের মূত্র দিয়ে। যে কারণে এটার নাম ‘বালক ডিম’।
চীনের পূর্বাঞ্চলের ডোংইয়ং শহরের রাস্তায় বিক্রি করা হয় এই বিচিত্র ডিম-সেদ্ধ। এটি বেশ জনপ্রিয় এবং স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে মনে করে সেখানকার মানুষ। ৫১ বছর বয়সী জি ইয়াহুয়ার মতে, ‘এটা খেলে কখনই গরমের কারণে কোনো স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা নেই। বাচ্চাদের মূত্রে সেদ্ধ করা এই ডিমগুলো সুগন্ধী আর এটা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। পরিবারের সবাই প্রতিবার খাওয়ার সময়ই এটা খায়। ডোংইয়ংয়ের প্রতিটা পরিবারই এটা খেতে পছন্দ করে।’
তবে এই খাবার বানাতে লেগে যায় প্রায় পুরো একটি দিন। প্রথমেই সংগ্রহ করতে হয় ১০ বছরের কম বয়সী বাচ্চার মূত্র। তারপর ডিমগুলো সেগুলোতে ভালোমতো ভিজিয়ে, সিদ্ধ করতে হয় পর্যাপ্তভাবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ডিমগুলো সিদ্ধ হয় এই মূত্রের মধ্যে। ‘বালক ডিম’ খাওয়ার ফলে শরীরের অধিক তাপমাত্রা কমে যায় এবং শরীরে রক্ত চলাচল অনেক ভালোভাবে হয় বলে জানিয়েছেন ৫৯ বছর বয়সী লু ইয়ানজেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষেরাও এটা খেয়েছে। এটা খাওয়ার ফলে আমাদের হাত, পা ও হাড়ের জোড়ায় কোনো ব্যথা থাকে না। এটা কাজ করার জন্য অনেক শক্তিও জোগায়।’
তবে নতুন প্রজন্মের অনেকেই এটা খাওয়া পছন্দ করে না। ৩৮ বছর বয়সী ওয়াং জুনজিং বলেছেন, ‘আমি এই ডিম খেতে পছন্দ করি না। অন্যরা এটা খায় কারণ দীর্ঘদিন ধরে ডোংইয়ংয়ে এটা একটা ঐতিহ্য হিসেবে চলে আসছে।’
চিকিত্সা-বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরাও এই ডিমের স্বাস্থ্য-উপযোগিতা সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ এই বিচিত্র খাবারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা জীবাণু আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা বলে সাবধান করেছেন। তবে ডোংইয়ং শহরের স্থানীয় সরকার এরই মধ্যেই এ ‘বালক ডিম’কে একটা দুর্বোধ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বলে ঘোষণা করে রেখেছে।
Watch Video:
Shop Amazon Jewelry - Incredible Deals

Loading






Sunday, January 29, 2012

অজানা তথ্য - অ্যান্টার্কটিকার গভীরে ছয়শো নতুন প্রজাতির সন্ধান লাভ




গহীন অরণ্য বা সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা প্রজাতির খোঁজ মাঝে মধ্যেই পাওয়া যায়। কখনো বা খোঁজ মেলে হারিয়ে যাওয়া পুরনো সাম্রাজ্যের। কিন্তু একেবারে নতুন প্রায় ছয়শো প্রজাতির বিপুল সম্ভারের খোঁজ এভাবে পাওয়া যাবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি বিজ্ঞানীরা। তাই বোধ হয় অ্যান্টার্কটিকার গভীর সমুদ্রের ৮ হাজার ফুট তলায় সাত হাতের তারামাছ ও লোমওয়ালা কাঁকড়ার খোঁজ পাওয়ায় হৈ চৈ পড়ে গেছে বিজ্ঞানী মহলে। সাউদাম্পটন ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানী বিশেষ প্রযুক্তিতে গভীর সমুদ্রে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। সেখানে সম্প্রতি এক সক্রিয় আগ্নেয়গিরির পাশে খোঁজ মেলে কয়েকটি অদ্ভুতর্শন জীবের। ভাল করে পরীক্ষা করতেই তারা বুঝতে পারেন কোনো নতুন জীব নয়, কতগুলো চেনা জীবই রূপ বদলে হাজির হয়েছে তাদের সামনে। বিজ্ঞানীদের আরো আশ্চর্য হওয়ার কারণ এত গভীরে, যেখানে সূর্যের আলো প্রবেশ করে না, সেখানে এত ধরনের প্রাণী বহাল তবিয়তে রয়েছে কী করে। যদিও বিজ্ঞানীরা মনে করছেন সমুদ্রের গভীরে আগ্নেয়গিরির গলিত লাভা প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য জোগায় প্রয়োজনীয় উষ্ণতা। আর লাভার সঙ্গে থাকা বিষাক্ত পদার্থ থেকে জোগাড় করে কাজ করার শক্তি। এভাবেই মানুষের অগোচরে ধীরে ধীরে অন্তত ছয়শো প্রাণীর এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা প্রধান গবেষক অ্যালেক্স রজার জানিয়েছেন, এক মজার তথ্য। —খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।