বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মধ্যে একটি চমকপ্রদ আবিষ্কার হলো কোডাক ফিল্ম। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে এই বিখ্যাত কোডাকের অস্তিত্ব বিলিনের পথে। কোডাক নামটি শুনলেই কানে বাজবে ‘হ্যাভ এ কোডাক মোমেন্ট’ কথাটি। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী কোডাক কোম্পানি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। কোডাক ফিল্ম আর ক্যামেরার সঙ্গে পরিচিত নন এমন মানুষ কিন্তু কমই পাওয়া যাবে। ডিজিটাল ক্যামেরা আসার আগে কোডাক এবং ফুজি ফিল্ম দখল করে রেখেছিল ফটোগ্রাফির যুগকে। পেশাগত হোক আর শৌখিন হোক, প্রতিটি ফটোগ্রাফার কোডাক ফিল্মের সঙ্গে পরিচিত। হ্যান্ড ক্যামেরার যুগে ফিল্ম কিনতে হতো। সেটা হতো হয় ফুজি নয়তো কোডাক। সেই কোডাক কোম্পানি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। বিদায়ের ঘণ্টাধ্বনি বেজেছে কোডাকের। বিংশ শতাব্দীতে কোডাক ফিল্ম ছাড়া ক্যামেরার কথা ভাবাই যেত না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম কোডাক ফিল্ম ব্যবহার করেছেন। সারা বিশ্বে কোডাক নামটি পেয়েছে পরিচিতি, কুড়িয়েছে সুখ্যাতি। নিউ ইয়র্কের বি অ্যান্ড এইচ ফটো কোম্পানির যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক হেনরি পসনার আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘কোডাক ফিল্মকে আমরা ভীষণভাবে মিস করব। কোডাক ফিল্ম থাকবে না, এর প্রভাব পড়বে প্রতিটি ফটোগ্রাফারের জীবনে, পেশায়। আপনি প্রফেশনাল বা অ্যামেচার যাই হন না কেন কোডাক ফিল্মের অনুপস্থিতি আপনি অনুভব করবেনই।’ কথাটা সত্যি। ১৮৮০ সালে জর্জ ইস্টম্যান একটি স্পুলের চারপাশে একটি ফিল্ম জড়িয়ে প্রথম পরীক্ষা চালান। ১৮৯২ সালে নিউ ইয়র্কের রচেস্টারের বাজারে তিনি নিয়ে আসেন ইস্টম্যান কোডাক ফিল্ম। এই ফিল্ম বিক্রির জন্য কোম্পানি খুব কম মূল্যে বাজারে ছাড়ে বিশেষ ধরনের ক্যামেরা। নাম কোডাক ব্রাউনি। সাধারণ মানুষের জীবনে শুরু হয় ক্লিক ক্লিক, প্রতিটি আনন্দঘন মুহূর্তকে একটি ক্লিকের মাধ্যমে ধরে ফেলতে থাকে কোডাক ফিল্ম এবং কোডাক ক্যামেরা। কোডাকের বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মধ্যে অন্যতম হলো, ‘আপনি শুধু শাটার টিপুন, বাকি কাজ আমাদের!’ বিজ্ঞাপনের এই বার্তা লুফে নিয়েছিল গোটা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ।
Showing posts with label KODAK. Show all posts
Showing posts with label KODAK. Show all posts
Thursday, February 9, 2012
বিদায় কোডাক - KODAK
বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মধ্যে একটি চমকপ্রদ আবিষ্কার হলো কোডাক ফিল্ম। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে এই বিখ্যাত কোডাকের অস্তিত্ব বিলিনের পথে। কোডাক নামটি শুনলেই কানে বাজবে ‘হ্যাভ এ কোডাক মোমেন্ট’ কথাটি। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী কোডাক কোম্পানি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। কোডাক ফিল্ম আর ক্যামেরার সঙ্গে পরিচিত নন এমন মানুষ কিন্তু কমই পাওয়া যাবে। ডিজিটাল ক্যামেরা আসার আগে কোডাক এবং ফুজি ফিল্ম দখল করে রেখেছিল ফটোগ্রাফির যুগকে। পেশাগত হোক আর শৌখিন হোক, প্রতিটি ফটোগ্রাফার কোডাক ফিল্মের সঙ্গে পরিচিত। হ্যান্ড ক্যামেরার যুগে ফিল্ম কিনতে হতো। সেটা হতো হয় ফুজি নয়তো কোডাক। সেই কোডাক কোম্পানি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। বিদায়ের ঘণ্টাধ্বনি বেজেছে কোডাকের। বিংশ শতাব্দীতে কোডাক ফিল্ম ছাড়া ক্যামেরার কথা ভাবাই যেত না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম কোডাক ফিল্ম ব্যবহার করেছেন। সারা বিশ্বে কোডাক নামটি পেয়েছে পরিচিতি, কুড়িয়েছে সুখ্যাতি। নিউ ইয়র্কের বি অ্যান্ড এইচ ফটো কোম্পানির যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক হেনরি পসনার আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘কোডাক ফিল্মকে আমরা ভীষণভাবে মিস করব। কোডাক ফিল্ম থাকবে না, এর প্রভাব পড়বে প্রতিটি ফটোগ্রাফারের জীবনে, পেশায়। আপনি প্রফেশনাল বা অ্যামেচার যাই হন না কেন কোডাক ফিল্মের অনুপস্থিতি আপনি অনুভব করবেনই।’ কথাটা সত্যি। ১৮৮০ সালে জর্জ ইস্টম্যান একটি স্পুলের চারপাশে একটি ফিল্ম জড়িয়ে প্রথম পরীক্ষা চালান। ১৮৯২ সালে নিউ ইয়র্কের রচেস্টারের বাজারে তিনি নিয়ে আসেন ইস্টম্যান কোডাক ফিল্ম। এই ফিল্ম বিক্রির জন্য কোম্পানি খুব কম মূল্যে বাজারে ছাড়ে বিশেষ ধরনের ক্যামেরা। নাম কোডাক ব্রাউনি। সাধারণ মানুষের জীবনে শুরু হয় ক্লিক ক্লিক, প্রতিটি আনন্দঘন মুহূর্তকে একটি ক্লিকের মাধ্যমে ধরে ফেলতে থাকে কোডাক ফিল্ম এবং কোডাক ক্যামেরা। কোডাকের বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মধ্যে অন্যতম হলো, ‘আপনি শুধু শাটার টিপুন, বাকি কাজ আমাদের!’ বিজ্ঞাপনের এই বার্তা লুফে নিয়েছিল গোটা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ।
Subscribe to:
Posts (Atom)