Showing posts with label জানা যাবে মানুষের জীবনকাল. Show all posts
Showing posts with label জানা যাবে মানুষের জীবনকাল. Show all posts

Thursday, January 12, 2012

জানা যাবে মানুষের জীবনকাল


ক্রোমোজমের দুই প্রান্তে সাদা গুটির মতো ‘টেলুমিয়ার’











 কথায় বলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—এই তিনটি ক্ষেত্রে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী খাটে না। কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা মানুষের আয়ুষ্কাল সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার দাবি করছেন।
গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, একজন মানুষের জিন বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাঁর আয়ু জানা যেতে পারে। ডিএনএতে এ সম্পর্কে লেখা থাকে। ফলে শিশুর জন্মের পরই জানা যাবে সে কত দিন বাঁচবে।’
বিজ্ঞানীরা বলেন, মানুষের ক্রোমোজোমগুলো একটির প্রান্তে আরেকটি যুক্ত হয়ে লম্বা আকার ধারণ করে। ক্রোমোজোমের দুই প্রান্ত যেন ঘর্ষণের মাধ্যমে ক্ষয় না হয়, সে জন্য তাতে গুটি গুটি কিছু বস্তু থাকে। এগুলোকে ‘টেলুমিয়ার’ বলা হয়। মানুষের আয়ু নির্ভর করে এই টেলুমিয়ারের ওপর। এর দৈর্ঘ্য যত বেশি, মানুষের আয়ুও তত বেশি হবে।
দ্য ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, কোনো দুর্ঘটনা, অসুখ, মাদক বা ধূমপানের মতো অভ্যাসগত কারণে কারও মৃত্যু হলে বা আয়ু কমে গেলে সেটা টেলুমিয়ারের ওপর নির্ভর করবে না।
গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ওই গবেষণা দলটির নেতা অধ্যাপক প্যাট মোনাঘান বলেন, জেব্রা ফিন্সেস নামের অস্ট্রেলিয়ার একটি অতি সাধারণ পাখির ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে পাখিগুলোর সারা জীবনের ওপর নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকেরা। পাখিগুলোর বয়স যখন ২৫ দিন ছিল, তখন তাদের রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। প্যাট বলেন, ‘গবেষণার ফলাফল আমাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে।’
প্যাট আরও বলেন, কম দৈর্ঘ্যের টেলুমিয়ারের পাখি কম সময় আর বেশি দৈর্ঘ্যের পাখি বেশি বছর বেঁচেছে।
গবেষকেরা বলেন, এই গবেষণার ফলাফল মানুষের জীবনেও ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা যাবে। কারণ মানুষের ডিএনএর ক্রোমোজোমে থাকা টেলুমিয়ারের সঙ্গে জেব্রা ফিন্সেস পাখির টেলুমিয়ারের কাজের মিল রয়েছে। ফলে এখন থেকে মানুষও তাঁদের টেলুমিয়ারের দৈর্ঘ্য মেপে তাঁর আয়ু জানতে পারে।
এই গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস’-এ প্রকাশিত হয়েছে।