গহীন অরণ্য বা সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা প্রজাতির খোঁজ মাঝে মধ্যেই পাওয়া
যায়। কখনো বা খোঁজ মেলে হারিয়ে যাওয়া পুরনো সাম্রাজ্যের। কিন্তু একেবারে
নতুন প্রায় ছয়শো প্রজাতির বিপুল সম্ভারের খোঁজ এভাবে পাওয়া যাবে তা
স্বপ্নেও ভাবেননি বিজ্ঞানীরা। তাই বোধ হয় অ্যান্টার্কটিকার গভীর সমুদ্রের ৮
হাজার ফুট তলায় সাত হাতের তারামাছ ও লোমওয়ালা কাঁকড়ার খোঁজ পাওয়ায় হৈ চৈ
পড়ে গেছে বিজ্ঞানী মহলে। সাউদাম্পটন ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন
বিজ্ঞানী বিশেষ প্রযুক্তিতে গভীর সমুদ্রে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। সেখানে
সম্প্রতি এক সক্রিয় আগ্নেয়গিরির পাশে খোঁজ মেলে কয়েকটি অদ্ভুতর্শন জীবের।
ভাল করে পরীক্ষা করতেই তারা বুঝতে পারেন কোনো নতুন জীব নয়, কতগুলো চেনা
জীবই রূপ বদলে হাজির হয়েছে তাদের সামনে। বিজ্ঞানীদের আরো আশ্চর্য হওয়ার
কারণ এত গভীরে, যেখানে সূর্যের আলো প্রবেশ করে না, সেখানে এত ধরনের প্রাণী
বহাল তবিয়তে রয়েছে কী করে। যদিও বিজ্ঞানীরা মনে করছেন সমুদ্রের গভীরে
আগ্নেয়গিরির গলিত লাভা প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য জোগায় প্রয়োজনীয় উষ্ণতা।
আর লাভার সঙ্গে থাকা বিষাক্ত পদার্থ থেকে জোগাড় করে কাজ করার শক্তি।
এভাবেই মানুষের অগোচরে ধীরে ধীরে অন্তত ছয়শো প্রাণীর এক বিশাল সাম্রাজ্য
গড়ে উঠেছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা প্রধান গবেষক অ্যালেক্স
রজার জানিয়েছেন, এক মজার তথ্য। —খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।