Thursday, January 5, 2012

নীল মার্বেল


 
দেখতে অবিকল মার্বেলের মতো। কিন্তু যে কেউ অবাক হবে জানতে পারলে যে, ছবিটি কোনো মার্বেলের নয়, ছবিটি আমাদের আবাসভূমি, আমাদের পৃথিবীর। এই বিখ্যাত ছবিটির নাম নীল মার্বেল’ (ব্লু মার্বেল)। এটি আমাদের পৃথিবী নামের গ্রহটির প্রথম রঙিন পূর্ণ অবয়ববিশিষ্ট ছবি। ১৯৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর তারিখে অ্যাপোলো-১৭ নভোযানের নভোচারীগণ পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের পানে যাওয়ার সময় এই ছবিটি তোলেন। সূর্য তাদের পেছনে থাকায় উজ্জ্বলভাবে আলোকিত নীল গ্রহটির অসাধারণ প্রতিচ্ছবি ধরা পড়েছিল তাদের ক্যামেরায়।

নরকের পুকুর


জাপানে নরকের পুকুর

নরকের পুকুর নামটি শুনলেই অবাক হতে হবে যে, পৃথিবীতে নরক আসবে কোথা থেকে! কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো, জাপানের মানুষ আদর করে জলাশয়গুলোর নাম দিয়েছে নরক। অবশ্য নরকের সঙ্গে জলাশয়গুলোর আসলেও মিল আছে। এগুলো গরম পানির পুকুর। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গরম পানির উত্স এই নয়টি গরম পানির পুকুর। জাপানের কিউশু দ্বীপে এই পুকুরগুলো অবস্থিত। এরমাঝে ৭টি আছে কানাওয়া জেলায়, আর বাকি ২টি শিবাসেকি জেলায়। জাপানের মানুষ অবশ্য পুকুরগুলোকে এতই ভালোবাসে, এগুলোকে নরক বলেও থেমে থাকেনি, তারা প্রত্যেকটি পুকুরের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পুকুরগুলোর আলাদা আলাদা নামও দিয়েছে। যেমনকানাওয়া জেলার পুকুরগুলোর নাম হলো সমুদ্র নরক, ন্যাড়া মাথা নরক, তপ্ত কড়াই নরক, পার্বত্য নরক, পাহাড়দানো নরক, স্বর্ণ ড্রাগন নরক আর শাদা পুকুর নরক। আর শিবাসেকি জেলার পুকুর দুটির নাম হলো রক্ত পুকুর নরক আর জলছিটানো নরক। পুকুরগুলো জাপানের মানুষের খুব প্রিয় হলেও বাইরের পৃথিবীর মানুষ কিন্তু পুকুরগুলোর কথা সেভাবে জানেই না। আর তাই পুকুরগুলো সংরক্ষণেরও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ডেড সি বলা হয় কেন?


ডেড সি/Dead sea
ডেড সি’! ভয়ঙ্কর নাম! আসলে কিন্তু এটা মোটেও কোনো ভয়ের জায়গা নয়। বরং এটা একটা ভীষণ সুন্দর বেড়ানোর জায়গা। এই ডেড সির পানি যথেষ্ট পরিমাণ ঘন। নাম ডেড সি হলেও এটা কিন্তু মোটেও কোনো সি বা সাগর নয়। মৃত সাগরনাম হলেও এটা আসলে একটা হ্রদ। তবে এটা কিন্তু মিঠা পানির হ্রদ নয়, এর পানি ভীষণ নোনা। সাগরের নোনা পানি এর পানির তুলনায় কিছুই নয়। এখানকার পানির লবণাক্ততা সাগরের পানির তুলনায় ৮.৬ গুণ বেশি! এই বিশাল হূদে তাই কোনো মাছই নেই! নেই পানির নিচে কোনো গাছপালাও! কারণ এত ঘন পানিতে কিছুই বাঁচতে পারে না। আর তাই এই হ্রদকে বলা হয় ডেড সিবা মৃত সাগর। তবে মাছ নেই বলে যে হ্রদে কোনো জীবন্ত প্রাণীই নেই, তা কিন্তু নয়! এই হ্রদে আছে নানা রকমের ব্যাক্টেরিয়া আর ছত্রাক। আর কিচ্ছুটি নেই। এই হ্রদটি কিন্তু মোটেও বিষাক্ত নয়। আসলে এখানে কোনো প্রাণী নেই এর জলের লবণাক্ততার জন্য।

মোয়েরাকি পাথর

মোয়েরাকি পাথর

মোয়েরাকি আসলে কোনো জায়গার নাম নয়, কতগুলো পাথরের নাম। পাথরগুলো দক্ষিণ নিউজিল্যান্ডের কোয়েকোহ সৈকতে আছে কি না! এই মোয়েরাকি পাথরগুলোকে নিয়ে কিন্তু নিউজিল্যান্ডের আদিবাসীদের এক মিষ্টি পৌরাণিক গল্পও আছে। নিউজিল্যান্ডের আদিবাসীদের নাম মাউরি। ওদের পূর্বপুরুষরা একেকজন ছিল দৈত্যের মতো বিশাল। আর তাদের সেই দৈত্যের মতো বিশাল পূর্বপুরুষরা একবার আরাইতেউরু নামের এক বিশাল নৌকাতে চেপে মহানন্দে নৌকা ভ্রমণ করছিল। নৌকা মাতাকাএয়ার কাছে এল, ওমনি বিরাট বিরাট তিনটা ঢেউ এসে সেই বিশাল নৌকা দিলো ডুবিয়ে। যে কয়জন বেঁচে গিয়েছিল তারা পরে পাথর হয়ে যায়। সেই পাথরগুলোই পরে ওখানকার বিশাল বিশাল পাহাড়ে পরিণত হয়। আর নৌকার যে জিনিসপত্রগুলো ছিল, সেগুলোই হয়ে যায় মোয়েরাকি পাথর। এমনিতেই তো সাগরের পাড়ের সবকিছুই সুন্দর। তার উপর এই মোয়েরাকি পাথরগুলোও কিন্তু কম সুন্দর নয়। আর এগুলোর কয়েকটা তো এতই ভারি, ওজন হবে কয়েক টন! ১ টন মানে এক হাজার কেজি। সেগুলো প্রস্থে হয় ৩ মিটারের মতো। প্রশ্ন হলো, পাথরগুলো কীভাবে তৈরি হলো। সাগরের তীরে কোনো একটা নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে বালি ও বালিজাতীয় বিভিন্ন পদার্থ জমে জমে তৈরি হয়েছে এই পাথরগুলো।